পিডিএফ বুকঃ | নাঙ্গা তলোয়ার |
সংকলকঃ | এনায়েতউল্লাহ আলতামাস |
প্রকাশনাঃ | ইসলামিক বুক ফাউন্ডেশন |
উপস্থাপনায়ঃ | বাগী কুঞ্জালয় পাঠাগার |
কৃতজ্ঞতাঃ | কামাল আহমেদ বাগী |
নাঙ্গা তলোয়ার ১-৬ খন্ড সরাসরি ডাউনলোড লিঙ্ক দেয়া হয়েছে, একসাথে সকল খন্ড বা আলাদা-আলাদা খন্ড ডাউনলোড করতে পারেন ৷ ডাউনলোড করতে সমস্যা হলে বা কোন লিঙ্ক কাজ না করলে, কমেন্ট বা লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে জানান ৷
হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা) ইসলামের ঐ তলোয়ারের নাম যা কাফেরদের বিরুদ্ধে চিরদিন খোলা থাকে ৷ হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা,)-কে রাসূলুল্লাহ্ (স,) ‘সাইফুল্লাহ’ - ‘আল্লাহর তরবারী’ উপাধিতে ভূষিত করেছেন ৷ তিনি নামকরা ঐ সকল সেনাপতি সাহাবীদের অন্যতম যাদের অবদানে ইসলামের আলো দূর-দূরান্তে পৌঁছতে পেরেছে । শুধু ইসলামী ইতিহাস নয়; বিশ্ব সমরেতিহাসও হযরত খালিদ (রা,)-কে শ্রেষ্ঠ সেনাপতিদের কাতারে গণ্য করে থাকে ৷
প্রখ্যাত সমরবিদ, অভিজ্ঞ রণকুশলী এবং স্বনামধন্য বিশেষজ্ঞগণও হযরত খালিদ বিন ওলীদ (রা,)-এর রণকৌশল, তুখোড় নেতৃত্ব, সমর প্রজ্ঞা, প্রত্যুৎপন্নমতীত্ব এবং বিচক্ষনতার স্বীকৃতি দিয়ে থাকেন ৷
প্রতিটি রণাঙ্গনে মুসলমানদের সংখ্যা ছিল অপ্রতুল ৷ কাফেরদের সংখ্যা কোথাও দ্বিগুণ, কোথাও তিনগুণ ৷ ইয়ারমুকের যুদ্ধে রোম সম্রাট এবং তার মিত্র গোত্রসমূহের সৈন্য ছিল ৪০ হাজারের মত ৷ শত্রুর সৈন্য সারি সুদূর ১২ মাইল প্রলম্বিত, এর মধ্যে কোথাও ফাঁকা ছিল না ৷ অপরদিকে, মুসলমানরা) শত্রুবাহিনীর দেখাদেখি) নিজেদের সৈন্যদের ১১ মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত করতে সক্ষম হয় ৷ তাও প্রতি দু'জনের মাঝে যথেষ্ট ব্যবধান ছিল ৷
শত্রুসৈন্যদের বিন্যাস্ত সারিও বৃহদাকার ছিল ৷ সৈন্যরা একের পর এক সাজানো ছিল ৷ একজনের পিছনে আরেকজন দাঁড়ানো ৷ যেন একটি প্রাচীরের পিছনে আরেকটি প্রাচীর খাঁড়া ৷ এর বিপরীতে মুসলমানদের সৈন্য বিন্যাসের গভীরতা ছিল না বললেই চলে ৷ ইতিহাস মুক ৷ সমর বিশেষজ্ঞগণ বিস্মিত ৷ সকলের অবাক জিজ্ঞাসা— ইয়ারমুকের যুদ্ধে মুসলমানরা রোমীয়দের কিভাবে পরাজিত করল? রোমীয়দের সেদিন চূড়ান্ত পরাজয় ঘটেছিল ৷ এ অবিশ্বাস্য ঘটনার পর বায়তুল মুকাদ্দাস পাকা ফলের মত মুসলমানদের ঝুলিতে এসে পড়েছিল ৷ এটা ছিল অভূতপূর্ব সমর কুশলতার ফল ৷ ইয়ারমুক যুদ্ধে খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা,) যে সফল রণ-কৌশল অবলম্বন করেছিলেন তা আজকের উন্নত রাষ্ট্রের সেনা প্রশিক্ষনে গুরুত্বের সাথে তা ট্রেনিং দেয়া হয় ৷
হযরত খালিদ বিন ওলীদ (রা,) এটা মানতে রাজি ছিলেন না যে, দুশমনের সৈন্যসংখ্যা বেশী হলে এবং তাদের রণসম্ভার অত্যাধুনিক ও উন্নত হলে আর মুসলমানরা সংখ্যায় কম হলে শত্রুর মুখোমুখি হওয়া উদ্বেগজনক ও আত্মঘাতী হবে ৷
এমন ঘটনাও তার বর্ণাঢ্য জীবনে ঘটেছে যে, তিনি সরকারী নির্দেশ এড়িয়ে শত্রুর উপর আক্রমণ করে শ্বাসরুদ্ধকর বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন ৷ এটা তাঁর প্রগাঢ় ঈমান এবং দৃঢ় প্রত্যয়ের ফসল ছিল ৷ ইসলাম এবং রাসূল (স,)-এর প্রতি অগাধ ভালবাসা চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ছিল ৷