পিডিএফ বুকঃ | আসহাবে কাহাফ |
লেখকঃ | মাওলানা আবুল কালাম আজাদ |
প্রকাশনাঃ | (সাময়িক) অজ্ঞাত |
উপস্থাপনায়ঃ | বাগী কুঞ্জালয় পাঠাগার |
কৃতজ্ঞতাঃ | কামাল আহমেদ বাগী |
আসহাবে কাহাফ সরাসরি পিডিএফ ডাউনলোড লিঙ্ক দেয়া হয়েছে ৷ ডাউনলোড করতে সমস্যা হলে বা কোন লিঙ্ক কাজ না করলে, কমেন্ট বা লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে জানান ৷
পাক ভারতীয় মুসলিম মণীষী আবুল কালাম আজাদ রচিত “আসহাব-ই কহ্ফ্” একটি বিখ্যাত উর্দু গ্রন্থ ৷ বর্তমান “আসহাবে কাহাফ” গ্রন্থেরই অনুবাদ ৷ বলার বিষয় হলো, এটাই এই গ্রন্থের প্রথম বঙ্গানুবাদ ৷ এই গ্রন্থে কুরআন শরীফের “সূরা কাহাফে” বর্ণিত ‘আসহাব-ই কাহাফ’ এবং ‘জুলকারনাইন’ ও তথ্যসূত্রে ‘ইয়াজুজ-মাজুজ’ নামক কয়েকটি ঘটনার ঐতিহাসিকতা সম্পর্কে বিশেষ গবেষণামূলক আলোচনা উপস্থাপিত হয়েছে ৷
বাইবেলের ইতিহাস ও ভূগোল-ভিত্তির উক্তি অবলম্বন করিয়া মধ্যযুগ হইতে যে বাইবেলীয় ইতিহাস ও ভূগোল রচিত হইয়াছে, তাহার পরিমাণ এত অধিক যে, একজনের জীবনে তাহাকে আয়ত্ব করাও কঠিন ৷
দুঃখের বিষয়, মুসলমানেরা কুরআন শরীফের ইতিহাস-ভূগোল-ভিত্তিক উক্তি অবলম্বন করিয়া এ যাবৎ তেমন কোন বিরাট ঐতিহাসিক বা ভৌগলিক সাহিত্য গড়িয়া তুলিতে পারেন নাই ৷ আধুনিক বিজ্ঞান-সম্মত গবেষণার সাহায্যে তেমন কোন বিশেষ উল্লেখ্যযোগ্য সাহিত্য গড়িয়া তোলার কথা তো চিন্তাই করা যায় না ৷ জ্ঞানের রাজ্যে ইহা আমাদের দীনতারই পরিচায়ক ৷ ফলে এক, শ্রেণীর স্বধর্মী ও বিধর্মীর নিকট কুরআন শরীফ আজও পূর্ণ মহিমায় আত্মপ্রকাশ করতে পারে নাই ৷
“আসহাবে কাহাফ” নামক উর্দু গ্রন্থে মৌলানা আবুল কালাম আজাদই সর্বপ্রথম কুরআন শরীফ সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিক প্রণালীর গবেষণামূলক আলোচনার সূত্রপাত করেন ৷ পুস্তকটি যে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক প্রণালীতে রচিত ইসলাম ধর্ম-ভিত্তিক একটি প্রামাণিক ইতিহাস, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই ৷ এই দিক হইতে গ্রন্থটির মূল্য শুধু মুসলমানদের নিকট নহে বিশ্বের কুরআন বিশেষজ্ঞ পন্ডিতমণ্ডলীর কাছেও অপরিমেয় ৷ ইহাতে এক-দিকে যেমন গবেষণামূলক কুরআন-ভিত্তিক ইতিহাস রচনা চমৎকোর্ষ লাভ করিআছে, অন্যদিকে তেমন নিস্পৃহ ও স্বূক্ষ্ণ বিচার-বিশ্লেষণের অদ্ভুত ক্ষমতা অভিব্যক্ত হইয়াছে ৷
—এমন একটি মূল্যবান গ্রন্থ বাংলায় অনূদিত হইয়া প্রকাশিত হওয়াও বাংলা অনুবাদ সাহিত্যের ইতিহাসে বিশেষ স্মরণীয় ব্যাপার ৷ কারণ, একমাত্র এই জাতীয় গ্রন্থই আমাদের চিরাচরিত ধর্মীয় চিন্তা ও গবেষণার ধারায় পরিবর্তন আনিয়া দিতে সমর্থ ৷ তবে, এই মন্তব্য মানোন্নয়ন মনীষা সম্পন্ন ব্যক্তির পক্ষে যতখানি সত্য, জন সাধারণের পক্ষে কতখানি সত্য নহে ৷
এতৎসত্বেও, সাধারণ পাঠকের মানসিক ঔৎস্বুব্য উদ্রেকে এই গ্রন্থ যে ব্যর্থ, তেমন কথা বলিতে পারা যায় না ৷ কেননা, ইহাতে চিন্তার খোরাকের পরিমাণও অপর্যাপ্ত ৷ আশা করা যায়, গ্রন্থটির আদর্শকে সম্মুখে রাখিয়ে আমাদের শিক্ষিত ও ‘আলিম সমাজ কুরআন শরীফের ইতিহাস ও ভূগোল ভিত্তিক অন্যান্য উক্তি অবলম্বন করিয়া মৌলিক গবেষণায় প্রবৃত্ত হইবেন ৷
যেই দিন বাংলা-ভাষা এই সৌভাগ্য লাভ করিবে, সেই তিন এই ভাষায়-বিশেষ করিয়া পূর্ব-পাকিস্থানী বাংলা ভাষার (তদানীন্তন) উন্নতির আর একটি নূতন ধাপ রচিত হইবে ৷